ঢাকা, ২৮ নভেম্বর ২০১৯ইং (দেশপ্রেম রিপোর্ট): আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় অশান্ত ছিল। এখন পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ঢেউ লেগেছে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করি। এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে।’
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হল- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে কাপ্তাইয়ে লেকে স্থাপিত ভ্রাম্যমাণ গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার’, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের অধীনে প্রদত্ত সৌরবিদ্যুৎ সুবিধা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন পাঁচটি জাহাজ।
এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য ছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো।’
‘স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে। ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান করি। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার এক হাজার ৮০০ অস্ত্রধারী আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থ-নীতির গতি সঞ্চার হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন দ্বীপ বলে গ্রিড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা সোলার প্যানেলের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলোকিত করেছি।’
শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দেশের প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। সন্ধ্যা হলেই এখন অনেকে আর ঘুমিয়ে পড়ে না। বিদ্যুতের আলোয় কাজ করে। এভাবেই সবার কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
এসময় শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় সুবিধাভোগী, শিক্ষার্থী ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply